প্রকাশিত: ২৬/০৪/২০২০ ৩:৪০ পিএম

পৃথিবীর সকল প্রাণী সুখী হতে চায়।
ইতর প্রাণী নিজের সুখ নিজে সৃষ্টি করতে পারে না কিন্তু মানুষ তার বিপরীত।
মানুষ নিজের সুখ নিজে সৃষ্টি করতে পারে তবে, সব সুখের মূলে প্রকৃতির বড় অবদান। তবে,প্রকৃতি আমাদের দুঃখ বা কষ্টও দেয়।
অতি ঠান্ডা, অতি গরম, ঝড়,সাইক্লোন,ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্নুপাত এবং করোনার মত ভাইরাসের মাধ্যমেও আমরা কষ্ট পেয়ে যাচ্ছি,
বিজ্ঞানের কুফল হিসাবে বিশ্বজুড়ে চলছে গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া যা আমরা ইংরেজীতে বলি’ “Greenhouse effects”
এই গ্রীন হাউজের ফলে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে এবং ওজোনস্তর ক্ষয় হচ্ছে।
যার কারণে পৃথিবীর নিম্নাঞ্চল ডুবে যাবে এবং ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে ঘন ঘন সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাস হচ্ছে,
পৃথিবী দিন দিন উত্তপ্ত হচ্ছে।
মানুষ পৃথিবীর উপর অনেক অত্যাচার করেছে এবং করছে,
মানুষের এমন কর্মকান্ডে রুষ্ট হচ্ছে প্রকৃতি এবং তার সাধারণ বহমান।
এখন পৃথিবী মানুষের উপর প্রতিশোধ নেয়া শুরু করেছে।
এদিকে ওজোনস্তর ক্ষয়ের ফলে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির মত দূরারোগ্য রোগ দেখা দিচ্ছে। মানবের বিজ্ঞান ও শিল্প কলকারখানা চর্চার ফলে
তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থ পৃথিবীর উপরিভাগে ও জলভাগে ফেলা হচ্ছে। ফলে মাটি ও মাটির উদ্ভিদ এবং জল ও জলজ উদ্ভিদ-প্রাণী তেজস্ক্রিয়ন্ত হচ্ছে
গাড়ির কালো ধোঁয়ায় যা বর্তমানে কার্বন মনোক্সাইড- যেটা সবার কাছে নীরব ঘাতক গ্যাস হিসাবে পরিচিত।
নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড,সালফার ডাই-অক্সাইড ফুসফুসে প্রদাহ ও শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করছে এবং রেডের বিষক্রিয়ায় জীবন আস্তে আস্তে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করছে।
বিজ্ঞান একদিকে জীবন সহজ করে দিয়েছে, অন্যদিকে মৃত্যুর থাবা বাড়িয়ে রেখেছে।
বিশ্ব জগৎ বড়‌ই বিচিত্র,
প্রাণী জীবন আরও বিচিত্র। জার্মানিতে ১৯৮৯সালে ভূ-পৃষ্ঠ হতে চার হাজার ফুট নিচে মাটিতে জীবাণুর সন্ধান পেয়েছিল, আশ্চর্যের বিষয় হল ঐ গভীরতায় পৃথিবীর প্রচন্ড তাপে ও চাপে জীবাণু কিভাবে বসবাস করে?
২০১৯সালে শেষের দিকে নতুন ভাইরাসের আগমন। বিজ্ঞানী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, নতুন ভাইরাসের আক্রমন থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে।
আশায় পথ চেয়ে আছে গোটা পৃথিবীর মানুষ ।

পরিশেষে বলতে চাই-
“অশান্ত পৃথিবী আবার শান্ত হোক” এবং “মানুষের মাঝে প্রকৃতির প্রতি প্রেম তৈরি হোক”।
প্রকৃতিকে প্রকৃতির মত থাকার সুযোগ দিক।

“বিশুদ্ধ হোক পৃথিবী” —–

লেখক:-
প্রভাষক শুভংকর বড়ুয়া
রসায়ন বিভাগ
বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি কলেজ,
উখিয়া, কক্সবাজার।

পাঠকের মতামত

নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোই যখন বড় চ্যালেঞ্জ!

মিয়ানমারের তিনটি প্রধান এথনিক রেজিস্ট্যান্ট গ্রুপ—তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল এলায়েন্স (এমএমডিএ) এবং ...

একটি ফুল—

একটি ফুল, একটি ফুলের জন্যে কতো নিষ্পাপ গাছ প্রাণ হারালো, এই বর্বর শুকোনের দল বারংবার ...